প্রতি বছর বর্ষাকালীন শ্রাবণ মাসে (জুলাই–আগস্ট), লক্ষ লক্ষ মানুষ পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার তারকেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশ্যে ভক্তিপূর্ণ যাত্রা শুরু করেন। তারা প্রধানত বৈদ্যবাটির নিমাই তীর্থ ঘাটসহ অন্যান্য ঘাট থেকে গঙ্গার পবিত্র জল সংগ্রহ করে, তা শিবলিঙ্গে অর্পণের জন্য তারকনাথ মন্দিরে নিয়ে যান। শ্রাবণী মেলা নামে পরিচিত এই উৎসব প্রতি বছর অসংখ্য ভক্তকে আকৃষ্ট করে।এ সময় গঙ্গার জল শিবলিঙ্গে অর্পণ করলে শান্তি, আশীর্বাদ এবং সৌভাগ্যলাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। “জল যাত্রী” নামে পরিচিত তীর্থযাত্রীরা প্রায় ৪০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মন্দিরে আসেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগমন করেন। যাত্রাপথ কঠিন হলেও তাদের বিশ্বাস অটল থাকে।মন্দির শহর ভরে ওঠে জপ, প্রার্থনা এবং আন্তরিক ভক্তির সুরে। তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা শুধু একটি পদযাত্রা নয়; এটি ভালোবাসা, বিশ্বাস ও আশার এক পবিত্র যাত্রা।
তারকেশ্বর মন্দির বাংলার প্রধান তীর্থস্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। আটচালা স্থাপত্যবিশিষ্ট এই মন্দিরের সামনের অংশে রয়েছে নাট মণ্ডির...
তারকেশ্বর মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত দুধপুকুর অর্থ ‘দুধের পুকুর’। এখানে তীর্থযাত্রীরা প্রায়ই ডুব দেন তাঁদের ইচ্ছাপূরণে...
গাজন উৎসব শিবের পুরুষ শক্তির বিয়ে উপলক্ষে ভক্তরা পালন করে। এখানে শিব, নীল বা ধর্মরাজ ও তাঁদের গৃহিণীর বিবাহকে চিহ্নিত করা হয়...
দেউলপাড়ার বুদ্ধ মন্দির তারকেশ্বরের আরেকটি প্রধান আকর্ষণ। এই মন্দির ১৯৮৫ সালে দালাই লামা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়...